চকরিয়ায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি: ২টি ড্রাম ট্রাক ও স্কেভেটর জব্দ: আটক ৩

মো. কামাল উদ্দিন, চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং বাস স্টেশন এলাকায় গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন করে মাটি বিক্রির সময় নাম্বারবিহীন ২টি মিনি ট্রাক (ডাম্পার)ও ১টি স্কেভেটর জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

এসময় মাটি কাটার সাথে জড়িত তিন শ্রমিককে আটক করা হয়। আটক পরবর্তী ভ্রাম্যমান আদালত তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এ ঘটনায় আটককৃত ৩ জনই হারবাং ইউনিয়নের মো. ইয়াছিন, মো. মিজানুর রহমান ও মো. শেফায়েত।

গত ৬ই ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং বাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম এবং চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী”র নেতত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা যায়, হারবাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন বাবরের মালিকানাধীন উচুঁ পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির জন্য চুক্তি হয় একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কালা সিকদারপাড়া এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে যুবলীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম লিটন ও ৮নং ওয়ার্ডের লালব্রীজ এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে কথিত যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, ২নং ওয়ার্ডের পূর্ব নোনাছড়ির মৃত ইসলাম সওদাগরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ডের করমুহুরীপাড়া’র নুরুল ইসলাম বাদশার ছেলে মো. আলমগীর, ৭নং ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. পারভেজের সাথে। চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে তারা। এ খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশ সমুহ স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মাটি কাটার সাথে জড়িত তিন শ্রমিককে আটক করা হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পাহাড় কাটার দায়ে তিন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৬ (খ) ধারার অপরাধে উপনীত হওয়ায় শাস্তির আওতায় ধারা ১৫(৪)নং এ দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর ও দুটি মিনিট্রাক জব্দ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটার কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে, পাহাড় কাঁটার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২টি মিনি ট্রাক (ডাম্পার), একটি স্কেভেটর জব্দ ও ৩জন শ্রমিককে আটক করার পর খবর পেয়ে পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন পরবর্তী কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবিরের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারবাংয়ে পাহাড় কাটার স্থানে সরেজমিন গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং ঐ কাটা পাহাড়ের বেশকিছু ছবি মোবাইলে ধারণ করে নিয়েছি। এবিষয়ে ইতিমধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে আমাদের পরিচালকের সাথে কথা বলে পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।